পেশাদারিত্বের অভাব ছিল, স্বীকার করলেন কোহলি

পেশাদারিত্বের অভাব ছিল, স্বীকার করলেন কোহলি

বিরাট কোহলি চলতি আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের মাঝেই জানিয়েছেন, কীভাবে তিনি তার ক্যারিয়ারে প্রচুর ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যা তাকে সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।

ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে কোহলি দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। সেই সঙ্গে ভারতের জয়রথও তরতর করে এগিয়ে চলেছে। এখন পর্যন্ত রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল ছয়টি গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতেই জিতেছে। বিরাট ইতোমধ্যে ৪৮টি ওডিআই সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। সচিন টেন্ডুলকারের ৪৯টি শতরানের বিশ্বরেকর্ড ছোঁয়ার অপেক্ষায় কিং কোহলি।

৩৪ বছরের তারকা অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছেন। স্টার স্পোর্টসকে বিরাট কোহলি বলেন, ‘আমার একমাত্র ফোকাস ছিল, দলের জন্য ভালো পারফর্ম করা এবং দলের জন্য কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করা।’

তারকা ব্যাটার স্বীকার করেছেন যে, ক্যারিয়ারের শুরুতে তার মধ্যে পেশাদারিত্বের অভাব ছিল। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে, তার নিজের মধ্যে প্রচুর পরিবর্তন তিনি নিয়ে এসেছেন। 

কোহলির দাবি, ‘আমার পেশাদারিত্বের অভাব ছিল। এর জন্য আমি শৃঙ্খলা এবং জীবনযাত্রার বিষয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন করেছি। আমার মধ্যে সব সময়ে খিদে ছিল, কিন্তু আমার পেশাদারিত্বের অভাব ছিল। এখন আমি কীভাবে গেমটি খেলতে চাই, তার উপর পুরোপুরি মনোনিবেশ করি। এবং এর ফলও আমি পাচ্ছি। খেলার প্রচেষ্টাও স্বীকৃতি পায়।’

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ চলাকালীন ছয়টি ম্যাচে মোট ৩৫৪ রান করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, কখনওই কল্পনা করতে পারেননি যে, তিনি তার ১২ বছরের ক্যারিয়ারে এত বেশি রান এবং শতরান করতে পারবেন। 

কোহলি বলেছেন, ‘সত্যি বলতে আমি আমার ক্যারিয়ার থেকে এটাই শিখেছি। আমি মাঠে আমার শতভাগ দিয়ে ক্রিকেট খেলি, এবং এর থেকে আমি যে আশীর্বাদ পেয়েছি, তা ঈশ্বর আমাকে দিয়েছেন এবং আমি কখনও ভাবিনি যে জিনিসগুলি এভাবে উন্মোচিত হবে।’

বিরাট কোহলি এবং ভারতীয় দল বিশ্বকাপের পরের ম্যাচে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার খেলতে নামবে। দুই দল মুম্বাইয়ের আইকনিক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে। এই স্টেডিয়ামে ফের ফিরবে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল স্মৃতি।

ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত এবং শ্রীলংকার মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৯ ম্যাচ খেলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ বার জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। আর ৪ বার জিতেছে শ্রীলংকা। একটি ম্যাচ অমীমাংসিত থেকে গেছে। অর্থাৎ আগামীকালের ম্যাচে যে একেবারে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।