নলছিটিতে মৎস্য বিভাগের মাঠ সহায়কের সিন্ডিকেটে ইলিশ নিধন
কামরুজ্জামান সুইট, ঝালকাঠীঃ- ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলা মৎস্য অফিসের দেশীয় শামুক ও ঝিনুক রক্ষা প্রকল্পের মাঠ সহায়কের সিন্ডিকেটে মাছ নিধন করছে জেলেরা। এর পারিশ্রমিক হিসেবে জেলেদের সাথে চুক্তি করে প্রতিদিন ২হাজার টাকা ও ৫কেজি ইলিশ নেয় তাদের কাছ থেকে। মাছের পরিমাণ কোন জেলে কি পেলো তার কোন তোয়াক্কা নাই। চুক্তিভিত্তিক পরিশোধ করেই তাকে নদীতে অবৈধভাবে জাল ফেলতে অনুমতি দেয় মাঠ সহায়ক আরিফ সিকদার।
তথ্যানুনুসন্ধানে জানাগেছে, নলছিটি উপজেলা মৎস্য অফিসের মাঠ সহায়ক আরিফ শিকদারকে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা ও ৫ কেজি ইলিশ মাছ দিলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর এই ২২ দিন, ২৪ ঘন্টা টহলের মধ্যেও গত বছর ধরে ইলিশ ধরতে পারে বলে জানিয়েছে নলছিটির মগড় ইউনিয়নের স্থানীয় জেলেরা। মগড় ইউনিয়ন এর স্থানীয় জেলে নজরুল, এনায়েত শরীফ, রুবেল, মিরাজ অভিযোগ করেন, নলছিটি উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মচারী আরিফ শিকদার এই নিষেধাজ্ঞার সমস্যা আমাদের উৎসাহ দিয়ে ইলিশ মাছ ধরতে নদীতে নামিয়েছে বিনিময়ে তাকে ২ হাজার টাকা ও ৫ কেজি ইলিশ মাছ দিতে হয় প্রতিদিন। মাঝে মধ্যে নদীতে মাছ না পাওয়ায় তাকে টাকা দিতে পারিনাই বলে সেদিন ২৬ অক্টোবর অভিযানের নামে আমাদের বাড়ীর পাশে ছোট খালে ও নদীর তীরে বেধে রাখা নৌকা জাল সব কিছু নিয়ে গেছে। এমনকি এক পঙ্গু ব্যক্তির চরে ঘাস কাটতে যাওয়া নৌকাও নিয়ে গেছে জেদ করে। জানা গেছে আরিফ সিকদার উপজেলার কুশাংগাল ইউনিয়নের সরমহল গ্রামের এম এ সামাদের ছেলে, সে ২০২১ সালে ৪ বছর মেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা মৎস্য অফিসে মাঠ সহায়ক হিসেবে চাকরি নেন। জেলেরা আরো বলেন নলছিটি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রমনী কুমার মিস্ত্রি স্যারের চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর পেনশনে যে টাকা পাবে তার থেকে বেশি টাকা ইনকাম করছে গত বছর আর এই বছরে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আরিফ সিকদার বলেন, অভিযোগের প্রমান নিয়ে আইসেন, যারা অভিযোগ করছে তারা মিথ্যা কথা বলছে, এবং সে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন কিছু জানতে চাইলে স্যারকে কল দিয়ে জানেন। এ বিষয় ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি, কেউ অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখবো ।