দেশের ভাষা-সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে প্রবাসীদের প্রতি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের আহ্বান

দেশের ভাষা-সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে প্রবাসীদের প্রতি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের আহ্বান

দেশের সমৃদ্ধ ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ।

 

ভাষা আন্দোলনের সব শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি অমর একুশের চেতনা সমুন্নত রাখার জন্যও অনুরোধ জানান।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ও এর আশপাশের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘ডিসি একুশে এলায়েন্স’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালুমনাই ফোরাম ইনক্ (ডুয়াফি)।

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি বর্ণনা করে রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, এই আন্দোলন বাঙালিদের অন্যায় ও অসাম্যকে প্রশ্রয় না দিতে এবং দমন-পীড়নকারী শক্তির কাছে মাথা নত না করতে শেখায়। তিনি বলেন, অমর একুশের চেতনা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে অফুরন্ত প্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছিল।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর বিলুপ্তির হুমকিতে থাকা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আর্লিংটন কাউন্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ক্রিশ্চিয়ান ডরসে। আর্লিংটন কাউন্টি বোর্ডের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনে বাংলাদেশের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে ডরসে বলেন, বাংলাদেশিরা ১৯৫২ সালে তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য লড়াই করেছিল ও জীবন দিয়েছিল। যা বিশ্বে বিরল। 

 

এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে ছিল অমর একুশের ওপর ভিত্তি করে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত সংগীত ও দলীয় নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি এবং মঞ্চ নাটক।

পরে রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা মঞ্চে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সব সংগঠনের নেতৃবৃন্দও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

 

অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ছিলেন ড. ইশরাত সুলতানা মিতা এবং এটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন ড. আমিনুর রহমান ও ড. রুনা হক। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি চার ঘণ্টাব্যাপী এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।