‘এখানেই শেষ নয়, সামনে আসছে দারুণ কিছু’

‘এখানেই শেষ নয়, সামনে আসছে দারুণ কিছু’

‘প্রিয়তমা’র সাফল্যে ভাসছে ছবির পুরো টিম। বিশেষ করে এর প্রযোজক আরশাদ আদনান দীর্ঘদিন পর প্রযোজনায় ফিরে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। এতে গোটা বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি নড়েচড়ে বসেছে।

ছবিটি ব্লকবাস্টার হতে শাকিবের অবদানের কথা বলতে ভুলেননি আশরাদ আদনান। তিনি বলেছেন, আমাদের সুপারস্টার শাকিব বাংলাদেশের গর্ব। তাকে নিয়ে সাফল্যের সাথে কাজ করতে পেরে আমিও গর্বিত এবং এখানেই শেষ নয়, সামনের দিনে আমরা একসাথে আরও দারুণ কিছু নিয়ে আসবো, কথা দিচ্ছি।

৩৫ দিন পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকাই ফিরেছেন শাকিব খান। তার দেশে ফেরার খবরটি আগেই অবগত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এ জন্য সকালেই এয়ারপোর্টে উপস্থিত হন তারা। শাকিবকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে আসেন ‘প্রিয়তমা’র প্রযোজক আরশাদ আদনান, পরিচালক তপু খান, অনন্য মামুন সহ অনেকে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই ট্রানজিটে হয়ে সকাল ১০টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শাকিব। সেখানে সবার আগে তাকে গ্রহণ করতে ছুটে যান প্রযোজক আরশাদ আদনান। তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বেশিরভাগ মানুষের মুখে হতাশার কথাই বেশি শোনা যেত। কিন্তু এই ইন্ডাস্ট্রির কিছু মানুষ কখনোই হাল ছাড়েনি, চরম দুর্দিনেও নিজের সর্বোচ্চ নিষ্ঠা দিয়ে কাজ করে গেছেন।’

“আজ বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি রমরমা এই কথায় আজ কারও দ্বিমত নেই। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই অর্জনে সামনে এবং নেপথ্যে কাজ করে যাওয়া নাম হলো শাকিব খান। সময় বদলালেও শাকিব খান আজও নাম্বার ওয়ান, তা প্রমাণিত হয়েছে ‘প্রিয়তমা’র বাঁধ ভাঙা সাফল্যে। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরের প্রেক্ষাগৃহেও প্রিয়তমা দাপটের সাথে চলছে। আমেরিকা কানাডায় প্রিয়তমা এখন প্রথম সপ্তাহে আয় করা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাংলাদেশি সিনেমা।”-বলছিলেন এই প্রযোজক।

শুধু দেশ নয়, বিশ্বের একাধিক দেশে এখনও চলছে ‘প্রিয়তম ‘। মুক্তির পর থেকে শাকিব খান তার এ ছবিটি নিয়ে চুপ ছিলেন। সেই সাফল্যের প্রসঙ্গ তুলে শাকিব বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর যেখানে প্রিয়তমা চলছে সবখানে ভালো যাচ্ছে। এটা বাংলা সিনেমার নতুন পথ উন্মোচন করলো।’

সেপ্টেম্বরে শাকিব খান শুটিং শুরু করতে পারেন অনন্য মামুন পরিচালিত ছবি ‘দরদ’ এর। নির্মাতা মামুন ‘দরদ’ টিমের পক্ষ থেকে শাকিব খান ও তার বড় ছেলে আব্রামের ভাইরাল হওয়া ছবিটির আঁকা ভার্সন উপহার দেন। যেখানে লেখা আছে বাবা জন্য সন্তানের ‘দরদ’!