উদ্বোধনী ম্যাচেই জমাটি লড়াই চেন্নাইকে হারিয়ে শুরু করল চ্যাম্পিয়ন গুজরাত
চলতি আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই চেন্নাই সুপার কিংসকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে দিল গুজরাত টাইটান্স। গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল ২০২২ সালে দু'বার মহেন্দ্র সিং ধোনির সিএসকে-কে হারিয়েছিল। ফের একবার দাপট দেখিয়ে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক করল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ব্যাটে যেমন শুভমন গিল নজর কাড়লেন, তেমনই অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ফের নিজের জাত চেনালেন রাশিদ খান। ফলে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দুরন্ত ইনিংস কিংবা তরুণ পেসার রাজ্যবর্ধন হাঙ্গারকারের (৩৬ রানে ৩ উইকেট) জলে গেল। কারণ চার বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ১৮২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় গুজরাত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী মেজাজেই শুরু করেছিলেন শুভমন গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। মারমুখী ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়ে দ্রুত রান তুলতে শুরু করে দেন ঋদ্ধি। ফলে চোখের নিমেষে প্রথম উইকেটে ৩৭ রান তুলে দেয় গুজরাত। তবে সেখানেই প্রথম ছন্দপতন। বিপক্ষের রাজ্যবর্ধন হাঙ্গারকারকে মারতে গিয়ে থার্ড ম্যানে থাকা শিবম দুবে-কে ক্যাচ দিয়ে বসেন পাপালি। ফলে তাঁকে ১৬ বলে ২৫ রান করেই থেমে যেতে হয়। মারলেন দুটি চার ও দুটি ছক্কা।
ফিল্ডিং করার সময় গুজরাত শিবিরের জন্য আরও উৎকণ্ঠা বয়ে এনেছিলেন কেন উইলিয়ামসন। রুতুরাজের বাউন্ডারি আটকাতে গিয়ে হাঁটুতে মারাত্মক চোট পান কিউয়ি তারকা। তাঁকে রীতিমতো ধরে ধরে মাঠ থেকে বার করে আনা হয়। পরে তাঁর পরিবর্ত হিসাবে সাই সুদর্শন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার করে নামায় গুজরাত। সেই ছক কাজেও লেগে যায়। ১৭ বলে ২২ রান করেন সাই। এদিকে ৯০ রানে ২ উইকেট চলে গেলেও, বিস্ফোরক ব্যাটিং করছিলেন শুভমন। তাঁর ক্রিজে থাকার সময় মনে হচ্ছিল চেন্নাইকে হেলায় হারিয়ে দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ১৫ ওভারে শুভমনকে ফিরিয়ে সিএসকে-কে ফের ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তুষার দেশপাণ্ডে। ফলে ৩৬ বলে ৬৩ রান করে ফিরে যান শুভমন। তাঁর ইনিংস ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল। মাঝের দিকে হার্দিক, বিজয় শঙ্কর ফিরে গেলেও, গুজরাতকে বাড়তি চাপ নিতে হয়নি। কারণ বোলিংয়ের পর ঝড়ো ব্যাটিং করে দলের জয় নিশ্চিত করেন রাশিদ খান। রাশিদ ৩ বলে ১০ ও রাহুল তেওয়াটিয়া ১৪ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।