বাসচাপায় বরগুনা এসবির ওসি নিহত; গৌরনদী থানা পুলিশের হাতে চালকসহ আটক ৩
ছুটি শেষে মোটরসাইকেলে কর্মস্থলে ফেরার পথে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাসের চাপায় নিহত নজরুল ইসলামকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া হানিফ পরিবহনের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে আটক করেছে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ।
নিহত নজরুল ইসলাম বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গাড়ুরিয়া ইউপির কাঠিপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ মাঝির ছেলে। ৫৭ বছর বয়সী নজরুল বরগুনা জেলা পুলিশের এসআই। তিনি জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ওসি পদে কর্মরত ছিলেন।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বরিশাল মেট্রোকে জানান, বৃহস্পতিবার বাকেরগঞ্জের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে বরগুনায় কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন নজরুল। পথে বরিশাল-বরগুনা-পটুয়াখালী মহাসড়কের কাঠাতলী এলাকায় পৌঁছালে বরগুনা থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া হানিফ পরিবহনের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে আটক করেছে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ।
গৌরনদী মডেল থানার এসআই সুশান্ত কুমার বরিশাল মেট্রোকে বলেন, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড থেকে হানিফ পরিবহনের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আটক করা হয়েছে। এবং যাত্রীদের বিকল্প যানবাহনে গন্তব্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান গৌরনদী মডেল থানার এসআই সুশান্ত কুমার ।
নিহতের শ্যালক হাবিবুর রহমান বরিশাল মেট্রোকে বলেন, নজরুল ইসলাম বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদার পাম্পের পিছনে বাড়ি করে সেখানে বাস করতেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন হাবিবুর রহমান।
বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুস সালাম বরিশাল মেট্রোকে বলেন, “দুর্ঘটনায় নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। হানিফ পরিবহনের বাসসহ চালককে বরিশালের গৌরনদী থেকে আটক করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে ।"