ধমকে দমাতে না পেরে আমেরিকা বন্ধু সাজার চেষ্টা করছে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

ধমকে দমাতে না পেরে আমেরিকা বন্ধু সাজার চেষ্টা করছে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান নরম সুরে কথা বলছে ইঙ্গিত করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘বন্ধু বেশেই কাউকে হত্যা করা সহজ। বঙ্গবন্ধুকে কাছের মানুষেরাই হত্যা করেছে। এখন ধমক দিয়ে শেখ হাসিনাকে দমাতে না পেরে আমেরিকা বন্ধু সাজার চেষ্টা করছে।’

বুধবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ডুয়েট ছাত্রলীগ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের (ডুয়েকা) উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন 

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শুধু সপ্তম নৌবহরই পাঠায়নি, এদেশের মুক্তিযুদ্ধকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। যুদ্ধের পর বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তাকে কমিয়ে তাকে হত্যা করার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলা অনেক কঠিন। অল্প কথায় বঙ্গবন্ধুকে বর্ণনা করা যায় না। তিনি হিমালয়ের মতো বিশাল। ছাত্রাবস্থায় থাকতেই পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের নজরদারিতে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে সেই সময়ের সিক্রেটস ডকুমেন্টস বা গোয়েন্দাদের লিখা পড়তে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, তা নিয়ে আমরা বিতর্ক করি। অথচ বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতেই সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী চরিত্র ফুটে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন জাতি গঠন করতে চেয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি কারাগারে থেকেও বঙ্গবন্ধু বারবার সোনার বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছেন।’

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নির্মূল করার জন্য শত্রুরা বারবার আঘাত করেছেন। ১৫ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত শত্রুরা চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনাকে ধ্বংস করে দিতে। কিন্তু দেশ ও জনগণের সেবার জন্য হাসিনা বারবার শোককে শক্তিতে পরিণত করে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীর প্রজন্মের স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে কাজ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলী এবং ডুয়েকার সভাপতি প্রকৌশলী মুহাম্মদ আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন প্রকৌশলী আব্দুল জলিল হাওলাদার পলাশ। 

অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি ও ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এম. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, ডুয়েকার প্রাক্তন সভাপতি প্রকৌশলী ফখরুল হায়দার বক্তব্য দেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, প্রকৌশলী আবুল কালাম হাজারী, প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী, প্রকৌশলী আমিরুল হক, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম ও প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।