ডাসারে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনের হেলিপোর্টের জমি অন্যের নামে খারিজ

ডাসারে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনের হেলিপোর্টের জমি অন্যের নামে খারিজ

মাদারীপুরের ডাসারে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এর কন্যাদের নামে ক্রয়কৃত হেলিপোর্টের জমি অন্যোর নামে খারিজ করা সহ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি আর ঘুষ-বাণিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ কায়েসুর রহমান বলেন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) আদায়, জমির নামজারি, সরকারি জমি রক্ষণাবেক্ষণ, বন্দোবস্ত ও অর্পিত সম্পত্তি লিজ দেওয়া, এক জনের জমি অন্য জনের নামে নামজারি করা এবং বিনা নোটিশে নামজারি কর্তন করে অন্যের নামে অন্তর্ভুক্ত করা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় জমিমালিকদের সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এলাকবাসী। টাকার বিনিময় অনিয়মকেই নিয়মে পরিনত করেন তিনি।

জানা যায়,নবগ্রাম এলাকার বিশ্বেস্বর বালার ৮৩ নং খতিয়ানের ২৮ নং দিয়াকান্দি মৌজার ১৫৪,১৫৫ও ১৫৬ নং দাগে মোট ১.১৭ একর সম্পত্তি হইতে ক্রয় সুত্রে ৮৩.৭৫ শতাংস জমি সাব দলিল মুলে মালিক হয়ে খারিজ রয়েছে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এর কন্যা সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন গং দের নামে। যাহার কেস নাম্বার ৫/১৫-১৬,১৪১/১৫-১৬ তারিখ ১৯-০৫-২০১৫ইং। 

কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামান অধিক টাকা ঘুস বানিজ্যের মাধ্যমে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন গংদের নামের সম্পত্তি হইতে ৩৪.০৮ শতাংস(হেলিপোর্ট) এর জমি সুনীল বালা ও মনোজ বালার নামে খারিজ করেন। যাহার কেস নাম্বার ৮৮৯/২১-২২,৬৯০/২২-২৩ এবং ১৭০১/২২-২৩. পর্চায় অনুসারে দেখা যায় ওই খতিয়ানের তিনটি দাগে মুল মালিক বিশ্বেস্বর বালার সম্পত্তি রয়েছে মাত্র ৩৩.২৫। কিন্তু তিনি খারিজ করেন মোট ৬৮.০৫ শতাংস জমি।

ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই করেন না ঐ কর্মকর্তা। সাধারণ জমির নামজারিতেও তিনি বিঘাপ্রতি আদায় করেন ১৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি বলেন এ টাকা বিভিন্ন জনকে দিতে হয়। দাবিকৃত টাকা না দিলেই নানা অজুহাতে ফাইল আটকে রাখেন তিনি। 

ভুক্তভোগী মনা হালদার বলেন, আমি অন্যের জমিতে জনদিয়ে সংসার চালাই। আমার ৯ শতাংস জমি নামজারি করতে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছে।

অমৃত সরকার বলেন, আমার নিজ নামে এবং ভোগ দখলকৃত জমিতে মালিকানা দাবি করে কোর্টে ১৪৪ মামলা দেয় সুজন হালদার। সেই জমি সরেজমিনে তদন্ত না করে তসিলদার বাদিও থেকে টাকা নিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট কোর্টে পাঠান। আমি পরে নারাজি দিয়ে ্ইউএনওর মাধ্যমে তদন্ত কওে পুনরায় আমার জমি ফেরত পাই।

সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, এটাতো কোন ভুল নয়। এটা তার অপরাধ।    

ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামান বলেন,কাগজ ছাড়া কোন নাম খারিজের কাজ করিনি। কাজ করার পর, খুশি হয়ে কিছু দিলে ক্ষতি কি। 

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) মোঃ কায়েসুর রহমান বলেন,কাগজপত্র নিয়ে তাকে অফিসে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি অতি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে দেখা হচ্ছে।