কবিরাজ সেজে বাসায় ঢুকে লুটপাট, মাত্র ৫ হাজার টাকা পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যা

কবিরাজ সেজে বাসায় ঢুকে লুটপাট, মাত্র ৫ হাজার টাকা পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যা

বাসা লুট করার সময় প্রত্যাশা অনুযায়ী টাকা-পয়সা না পেয়ে একই পরিবারের তিন সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকার আশুলিয়ায় কথিত কবিরাজ এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটায়। 

গতকাল সোমবার (২ অক্টোবর) এ ঘটনার দায়ে গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে সাগর আলী (৩১) ও তাঁর স্ত্রী ইশিতা বেগম (২৫) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার এক দম্পতিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব বলছে, কবিরাজ সেজে ওই বাসায় গিয়েছিলেন তাঁরা। চিকিৎসার নাম করে পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর লুটপাট চালান তাঁরা।

সাগর ও ইশিতাকে গ্রেপ্তারের পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, সাড়ে তিন বছর কারাগারে থাকার পর চলতি বছরের জুনে জামিনে মুক্তি পান সাগর। এর চার মাসের মাথায় এক পরিবারের তিনজনকে খুনের ঘটনা ঘটালেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কবিরাজ সেজে আশুলিয়ায় ভুক্তভোগীদের বাসায় গিয়েছিলেন সাগর ও ইশিতা। চিকিৎসার নাম করে পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করেন তাঁরা। পরে বাসায় লুট করতে গিয়ে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পান এই দম্পতি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনজনকে খুন করেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার একটি বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে বাবুল হোসেন (৫০), শাহিদা বেগম (৪০) ও তাঁদের ছেলে মেহেদী হাসান জয়ের (১২) অর্ধগলিত গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। বাবুল ও শাহিদা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তাঁদের ছেলে মেহেদী হাসান স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত।

বাবুলের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার গরুড়া (ফুলবাড়ী) গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মৃত সইর উদ্দিন।