‘আপনারা তৃণমূল পর্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আপনাদের পদচারণায় গণভবনের মাটি ধন্য’
গণভবনে উপস্থিত সারাদেশের কয়েক হাজার জনপ্রতিনিধির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আপনারা তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। আপনাদের উপস্থিতিতে গণভবনের মাটি ধন্য হয়েছে। তৃণমূল মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আপনারা এখানে এসে বক্তব্য দিয়েছেন, আপনাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণভবনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা কেন্দ্র থেকে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে ক্ষমতাসীন করে জনগণের দৌরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেছিলেন। তিনি সবার মাঝে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ে এল চরম আঘাত। এরপরই থেমে গেল বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। পরবর্তী সময়ে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার সুযোগ পায়। পিতা, মাতা, ভাই সব হারিয়েছিলাম। বিদেশে আমি ও আমার ছোটবোনকে রিফিউজি হিসেবে থাকতে হয়েছিল। আমার ছোটবোন রেহানার পাসপোর্টটিও জিয়াউর রহমান দেয়নি। সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল তবুও রিনিউ করে দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য আমাদের নিজের নাম ব্যবহার করতে পারতাম না। যারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ৭১-এ যেমনিভাবে আশ্রয় দিয়েছে, পরবর্তীতেও আশ্রয় দিয়েছে। এরপর ২১ বছর পর জনগণের শক্তি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছি। আমার অবর্তমানে আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি করেছিল। আওয়ামী লীগের প্রতি ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। হারিয়েছিল মা, বাবা, ভাই... আর পেয়েছি বিশাল জনগোষ্ঠীর পরিবার। বাংলাদেশের মানুষই আমার আপনজন এবং তারাই আমার পরিবার।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সিলেটের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ বিভিন্ন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইবরাহীম।