স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা, যাবজ্জীবন-৫

স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা, যাবজ্জীবন-৫

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

সোমবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় তিনজন উপস্থিত থাকলেও দু’জন পলাতক রয়েছেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আকবর হোসেন, মোশাররফ হোসেন ওরফে লিটন, নুরুল আবছার ওরফে স্বপন, আবুল বশর ও সুমন। এর মধ্যে আকবর হোসেন, মোশাররফ হোসেন ও নুরুল আবছার উপস্থিত ছিলেন। আবুল বশর ও সুমন পলাতক রয়েছেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের মতো সকালে স্কুলে যেতে বাসা থেকে বের হয় নবম শ্রেণির ঐ ছাত্রী। স্কুল ছুটির সময় পেরিয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় স্কুল, স্বজনদের বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। পরদিন দুপুরে বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্দ্বীপ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার মা।

 

মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটিতে নয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

 

ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট জিকো বড়ুয়া বলেন, স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরো তিনমাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।