মেট্রোরেলে যেসব সুফল পাওয়া যাবে
মেট্রোরেল অত্যাধুনিক এক গণপরিবহন ব্যবস্থা। এটি যেমন দ্রুতগতির, তেমনি এর রয়েছে পরিবেশগত ইতিবাচক দিকও। কারণ এই ব্যবস্থা চলে ইলেকট্রিক পদ্ধতিতে। একই সাথে কম সময়ে এতে অসংখ্য যাত্রী পরিবহন করা যায়।
দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও যেতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ১৭ মিনিট। আর মতিঝিল পর্যন্ত এই লাইন বিস্তৃত হলে মোট ১৬টি স্টেশনে যাত্রী ওঠা নামা করিয়ে এতে সময় লাগবে মাত্র ৩৮ মিনিট। এতে বেঁচে যাবে বিপুল কর্মঘণ্টা। কমবে ভোগান্তি।
প্রথাগত গণপরিবহনের ওপর চাপ কমবে, কমতে পারে ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচলও। এতে কিছুটা হলেও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। মেট্রোরেল পুরোদমে চালু হলে বায়ুদূষণের পাশাপাশি কমবে শব্দদূষণও।
আব্দুল্লাহপুর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যেসব গাড়ি চলাচল করে এর মধ্যে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের অনেকগুলোই ফিটনেসবিহীন অবস্থায় চলাচল করে৷ এই রুটে যদি মেট্রোরেল চালুর পর এসব ফিটনেসবিহীন যানবাহনের সংখ্যা ২০ ভাগও কমে তাহলে ওই সংখ্যক গাড়ির বায়ুদূষণ কমবে। কারণ ঢাকায় যে দূষণ হয় তার বড় তিন উৎসের মধ্যে একটি হচ্ছে যানবাহনের দূষণ। মেট্রোরেলের ফলে যদি গাড়ির সংখ্যা ও ফ্রিকোয়েন্সি কমে তাহলেই বায়ুদূষণ কমবে।