ভারত থেকে আসতে শুরু করেছে স্যালাইন

ভারত থেকে আসতে শুরু করেছে স্যালাইন

সিদ্ধান্তের পরদিনই বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেছে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্যালাইন। যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ঢাকার জাস করপোরেশন এই স্যালাইনের চালান আমদানি করে। এই লটে ২৭ হাজার ৭৮০ ব্যাগ স্যালাইন আনা হয়। ভারতের জেনটেক্স ফার্মাসিউটিক্যাল এই স্যালাইন উৎপাদন করে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে স্যালাইন আমদানির কথা জানান। গতকাল মঙ্গলবার ২০ লাখ আইভি ফ্লুইড স্যালাইন ক্রয়ের জন্য অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ভারত থেকে কেনা এসব স্যালাইনের দাম পড়ে ৬১ টাকা ৩৫ পয়সা।

আমদানিকারকের প্রতিনিধি জানান, বর্তমান সংকটের মুহূর্তে আমদানিকৃত স্যালাইন বড় ভূমিকা রাখবে ও কম মূল্যে মানুষ ক্রয় করতে পারবে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বন্দর থেকে এসব পণ্য দ্রুত ছাড়করণে সহযোগিতা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত সোমবার একই প্রতিষ্ঠান ২৫ হাজার ৪৭০ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করেছে।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ২০ লাখ আইভি ফ্লুইড স্যালাইন ক্রয় করবে।

জরুরি প্রয়োজনের কথা তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির ব্যাপকতায় ডেঙ্গু মশার বিস্তার আরও বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে সারা দেশে আইভি ফ্লুইডের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এ পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার স্বার্থে জরুরি প্রয়োজনে আরও ২০ লাখ পিস আইভি ফ্লুইড সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিএমপি) অনুসরণে ক্রয় করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

কিছুদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে নির্দিষ্ট দাম থেকে দুই-তিনগুণ বেশি দরে। কোথাও আবার ৮৭ টাকার স্যালাইনের দাম নেয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এ অবস্থা রাজধানী ঢাকার মধ্যেও দেখা দিয়েছে।

সংকট তুলে ধরেন হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এম এইচ লেলিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এখন চাহিদার তুলনায় স্যালাইনের সংকট অনেক বেশি। আমরা কোম্পানিকে ১০০ ব্যাগ স্যালাইনের চাহিদা দিলে ১০ বা ২০ ব্যাগ স্যালাইন পাই। আগে আমরা একজন লোক পাঠিয়ে মিডফোর্ড মার্কেট থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী স্যালাইন নিতে পারতাম। এখন স্যালাইনের খোঁজে তিন চারজনকে মিডফোর্ড মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে পাঠাতে হচ্ছে। স্যালাইনের সর্বোচ্চ দাম ৯০-৯৫ টাকা ছিল, এখন সেই স্যালাইন আমরা ২০০ টাকা প্যাকেট কিনছি।